আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চাটমোহরে স্ত্রীর পরকীয়ায় খুন হন ইসমাইল, হত্যাকারী গ্রেপ্তার

 

মোঃ কায়সার আহম্মেদ, পাবনা সংবাদদাতাঃ

পাবনার চাটমোহরে মুরগী ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকারীকে ঢাকা গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। একইসাথে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি গামছা মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও বাইসাইকেল উদ্ধার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি হলেন, চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ধুলাউড়ি কুঠিপাড়া গ্রামের আরদোস আলী মৃধার ছেলে রবিউল করিম। এই তথ্য জানান। মূলতঃ পরকীয়া সম্পর্কের কারণেই হত্যা করা হয় ইসমাইলকে।

পুলিশ সুপার জানান, নিহত চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামের মৃত সানোয়ার হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন ও হত্যাকারী রবিউল করিম পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা। রবিউল ঢাকার মোহাম্মদপুরে থেকে রিক্সা চালায়। পরিচয়ের সূত্র ধরে অভাবের কারণে ইসমাইল রবিঊলের সাথে ঢাকায় রিক্সা চালাতে যান। সে সুবাধে ইসমাইলের স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় রবিউলের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে তৈরি হয় শারীরিক সম্পর্কও। রবিউল রিক্সা চালানো বাদ রেখে বাড়িতে চলে আসে আর ইসমাইল ঢাকায় থেকে যান সোমবার (৬ মার্চ) সকালে পাবনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি এক প্রেসব্রিফিং-এ । বাড়িতে এসে রবিউল ও মাহমুদার গোপন অভিসার চলতে থাকে। এরইমধ্যে ইসমাইল বাড়িতে চলে আসেন।

পরকীয়ায় বাঁধা সৃষ্টি হলে রবিঊল ইসমাইলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই জের ধরে রবিউল ইসমাইলকে বলে তার কাছে একটি স্বর্ণের পুতুল আছে। লোভে পরে ইসমাইল সেটি দেখতে চায়। রবিউল গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে ইসমাইলকে মূর্তিটি দেখানোর জন্য ধুলাউড়ি গ্রামের নলগাড়া বিলে একটি ভুট্টার খেতের পাশে নিয়ে গিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে রবিউল পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে দাঁড়িয়ে পেছন থেকে ইসমাইলের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরেধে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হবার পর মৃতদেহ দুই হাত ধওে টেনে ভূট্টা ক্ষেতের ভেতরে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশ সুপার আরো জানান, হত্যার ঘটনার পর রবিউল ইসমাইলের বাড়িতে গিয়ে মাহমুদার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরের দিন রবিউল ঢাকায় চলে যায়।

ঘটনার ৫ দিন পর ভূট্টাক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তদন্তকালে ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি সাইকেল গ্যারেজ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হত্যাকারী রবিউল করিমকে।

পুলিশ সুপার আরো জানান, রবিউল হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হত্যায় ব্যবহৃত গামছা মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও বাইসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। প্রেসব্রিফিংয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) মোঃ হাবিবুল ইসলাম, চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...