আজ ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ইসলামের খেদমতে শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা – নিজাম উদ্দিন জিটু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এফবিসিসিআই ষ্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য টেলিলিংক গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দৈনিক গণকন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক বিশিষ্ট শিল্পপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু বলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর ইসলাম ও ইসলামী জীবনধারার মান উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

তিনি শনিবার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতা এসব কথা বলেন।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক নুরুল ইসলাম নূরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমদ উল্লাহ। বিশেষ আলোচক হিসেবে বয়ান করেন মুফতি সাখাওয়াত উল্লাহ।

উক্ত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা
আল-কোরআনের ডিজিটালাইজেশনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। তিনি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ; দেশের ৩১টি কামিল মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করা; যোগ্য আলেমদের ফতোয়া প্রদানে আদালতের ঐতিহাসিক রায়; জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্যবর্ধন ও সম্প্র্রসারণ, সুউচ্চ মিনার নির্মাণ, দক্ষিণ সাহান সম্প্রসারণ, সৌন্দর্যবর্ধন ও পূর্ব সাহানের ছাদ নির্মাণ, মহিলাদের নামাজ কক্ষ সম্প্রসারণ, সাহানের স্থান সম্প্রসারণ ও কমপ্লেক্স নির্মাণ; ইসলামিক ফাউন্ডেশন লাইব্রেরি ভবন নির্মাণ করেন।

বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও রাজকীয় সৌদি আরব সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর; হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার; জেদ্দা হজ টার্মিনালে ‘বাংলাদেশ প্লাজা’ স্থাপন; আশকোনা হজক্যাম্পের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি; রেকর্ড সংখ্যক হজযাত্রী প্রেরণ; হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি সরকারের স্বীকৃতি; মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে আলেম-ওলামাদের কর্মসংস্থান ও বেতন-ভাতা বৃদ্ধি; শিশু ও গণশিক্ষা এবং কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমে মাহিলাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ;

জাতীয় শিক্ষানীতিতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণ; কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সনদের সরকারি স্বীকৃতির জন্য আলাদা কমিশন গঠন; ১০০০টি বেসরকারি মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণ; প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নাধীন; ইমাম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম; ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন; ইসলামী প্রকাশনা প্রকল্প বাস্তবায়ন, আন্তর্জাতিক হিফজ, কিরাত ও তাফসির প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সাফল্য; জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অনুমোদিত প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন মডেলে ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন;

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণের ঘোষণা ও বাস্তবায়ন; প্রতি জেলা ও উপজেলা সদরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের আদলে মসজিদ নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও উপজেলা পর্যায়ে একটি করে মসজিদ সরকারিকরণ এবং একটি গ্রাম একটি মক্তব চালু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

ইসলামের প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা কওমি জননী জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...