মোঃ দিদার হোসেন পিন্টু বেলাব থেকে-----
ইকবাল খন্দকার। বলছিলাম নরসিংদী বেলাব থানার পাটুলী ইউনিয়নের ভাবলা গ্রামের লেখক ইকবাল খন্দকারের কথা।
শুধু লেখক বললে ভুল হবে। একাধারে তিনি কথাসাহিত্যিক,টিভি উপস্থাপক,গীতিকার,নাট্যকার,টিভি স্ক্রিপ লেখকও বটে।
বহুগুনে গুনাম্বিত এই ইকবাল খন্দকারের লেখা প্রায় ১০৭টি বই এখন বাজারে একচেটিয়ে আধিপত্য বিস্তার করে চলছে।
পাঠক সমাজে ইকবাল খন্দকারের বই মানেই অন্যকিছু।
১৯৮৩ সালের ১১ জানুয়ারী ভাবলা গ্রামের সম্ভাব্য এক মুসলিম পরিবারে জন্ম ইকবাল খন্দকারের।
পিতার নাম মোঃ শামসুউদ্দীন খন্দকার ও মায়ের নাম আমিনা বেগম। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে ইকবাল খন্দকার সবার ছোট।
শৈশব থেকে লেখালেখির প্রতি টান থাকলেও তিনি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তখন থেকেই সিদ্ধান্ত নেন লেখালেখির বাইরে তিনি আর কিছু করবেননা।
বাস্তবেও হয়েছে তাই। উচ্চ শিক্ষিত এই তরুন সত্যি কোন কিছু করেননি। কোন চাকরীতে না ঢুকে পেশাদার একজন লেখক হিসাবে লিখতে শুরু করেন একাধারে বিভিন্ন গল্পের বই,ছোট গল্প,উপন্যাস,কবিতা,প্রবন্ধ নিবন্ধ,মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক নানা বই,শিশুদের পড়ার মত বিভিন্ন শিক্ষামূলক ও ভৌতিক উপন্যাস।
ইকবাল খন্দকারের বিভিন্ন লেখা একাধিকবার দেশের প্রায় সবকটি দৈনিকেই প্রকাশ হয়েছে গুরুত্বের সাথে।
পাশাপাশি তিনি লিখতে শুরু করেন টিভি অনুষ্ঠানের স্ক্রিপ্ট। সর্বপ্রথম তিনি স্ক্রিপ্ট লিখেন এনটিভি এর বিভ্রাট অনুষ্ঠানের জন্য। ইকবাল খন্দকারের উপস্থাপিক প্রথম টিভি অনুষ্ঠান “বেআক্কেলের আড্ডা”দর্শক সমাজে এখনোও সমাদৃত।
২০০১ সালে “ভুলে যেও আমায়”নামে প্রথম বই প্রকাশিত হয় সুনামধন্য এই লেখকের।
তারপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রকাশিত হয়
*শিশুতোষ বই---
দোয়েল ও জোনাকি,অহংকারী অজগর,কাকের গান শেখা,শালিক ও কাঠঠোকরা,ইঁদুর ও কাক।
কিশোরভিত্তিক বই---
মহাবিপদে ছোট মামা,ভুতুরে বটগাছ,টিফিনবক্সে দৈত্য
রম্য বই---
ছড়ায় ছড়ায় কৌতুক,দাঁত ভাঙ্গা হাসি,বস্তাভরা হাসি,গুদা ভরা হাসি
ভৌতিক গল্প---
গলাকাটা ভূত,ভূতরে লাশঘর,লাশখেকো পিচাশ,অভিশপ্ত ষ্টেশন,রাক্ষুসে দোলনা,মধ্যরাতের প্রেতাত্মা
গোয়েন্দা রহস্য থ্যিলার সংক্রান্ত বইয়ের মধ্যে---
রোল নং এক,স্কুলজুড়ে আতঙ্ক,অপারেশন দস্যুবাড়ি,দুর্ধর্ষ মুখোশধারী
বড়দের বইয়ের মধ্যে---
একটি রেওয়ালিশ লাশ,সুইসাইড
উপন্যাসের মধ্যে---
এ হৃদয় চায় তোমাকে,নিঃশব্দ নির্বাসন,তরুনী তখন ঘরে একা,বীভৎস সেই মধ্যরাত,ছুঁয়ে দাও বালিকা,বিদায় মা,তুমি ছাড়া একলা আমি,তালাকপ্রাপ্তা,
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক বইয়ের মধ্যে--
একাত্তরের বদ্ধঘর এছাড়াও ইকবাল খন্দকারের লেখা দর্শকনন্দিত কিছু একক ও ধারাবাহিক নাটক হলো কদম চোরা,বিয়ে করবো স্পন্সর চাই,রোজাদার,ইত্যাদি।
টিভি অনুষ্ঠানের স্ক্রিপ্ট এর মধ্যে---
কে হতে চায় কোটিপতি,বিভ্রাট,জোর করে হাসি নয়,জমবে এবার গানে গানে ছন্দে আনন্দে উল্লেখযোগ্য।
সাম্প্রতিক সময়ে উনার লেখা কয়েদখানা,বতক,বাজান সহ বেশকিছু বই পাঠক সমাজে সবচেয়ে বেশি সুনাম কুড়ায়।
সুনামধন্য এই লেখকের সাথে আমার পরিচয় অনেক আগ থেকেই। কারন আমিও লেখালেখি খুব পছন্দ করতাম। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিয়মিত আমি গল্প উপন্যাস কবিতা লিখতাম।
একদিন বিকাল বেলা বেলাব বাজারে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হাজির লম্বা চিকন চাকন একটি ছেলে। নাম ইকবাল খন্দকার।
নামটি রেডিওতে শুনতাম আর মনে মনে রাগ করতাম কারণ রেডিওতে উপস্থাপক নামটি এইভাবে বলতো নরসিংদীর ভাবলার ইকবাল খন্দকার।
কেন বেলাব শব্দটি উপস্থাপক বলেনা এজন্য মনে মনে কষ্ট পেতাম।
তখন ইকবাল খন্দকারের প্রথম উপন্যাস “ভুলে যেও আমায়”একচেটিয়ে বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
দ্বিতীয় উপন্যাস “এ হৃদয় চায় তোমাকে”এই উপন্যাসটি আমার মাধ্যমে প্রকাশ করবে এ নিয়ে বেশকিছু সময় কথা হয় দেশের সুনামধন্য এই লেখকের সাথে।
ইকবাল খন্দকার এখন দেশের নামকরা লেখক, কবি,টিভি উপস্থাপক,গীতিকার ও নাট্যকার।
সেদিনের ইকবাল খন্দকার যখনই বেলাবতে তার গ্রামের বাড়িতে আসে তখনই দেখা করে আমার সাথে।
একটুও অহংকার নেই মানুষটির। লেখকদের মন নাকি সাদা শুভ্র থাকে।
ইকবাল খন্দকার হয়তো তার চেয়েও বেশি।
ইকবাল খন্দকার আমাদের দেশের গর্ব সর্বোপরি বেলাববাসির গর্ব। ইকবাল খন্দকারের লেখা প্রতিটি বই পাঠক সমাজে আলো ছড়িয়ে যাক এই প্রত্যাশায়-----
সম্পাদনায়-
শেখ আব্দুল জলিল
সম্পাদকঃ শেখ আব্দুল জলিল, প্রধান সম্পাদকঃ শেখ শহীদ কায়সার, ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ উম্মে দিল আফসানা
সহ সম্পাদকঃ জান্নাতুল ফেরদাউস, বার্তা সম্পাদকঃ মোঃ আশিকুর রহমান সৈকত।
Office: Holding #535/1/A, Flat No:4B. South Monipur, Mirpur -1216 Dhaka, Bangladesh.
E-mail: narsingdipost@gmail.com Editor: 01736065708
Copyright © 2024 Narsingdi Post. All rights reserved.