বেলাব (নরসিংদী) প্রতিনিধি:

বেলাবতে প্রতিবন্ধী গৃহবধুকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের ওয়ারী গ্রামে। ধর্ষনের শিকার গৃহবধু একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। তিনি ওয়ারী গ্রামের দরিদ্র নাসির উদ্দীনের স্ত্রী। জানা গেছে,এলাকার কিছু প্রভাবশালী ও জনপ্রতিনিধি ধর্ষনের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার পায়তারা শুরু করেছেন।
ধর্ষিতা গৃহবধুর স্বামী নাসির উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান,গত ইউনিয়ন নির্বাচনের সময় হতে প্রতিবেশি আমির হোসেনের ছেলে মিঠু মিয়া উক্ত গৃহবধুকে ধর্ষন করে আসছে। গত ২২ জুলাই শুক্রবার বিকালে উক্ত গৃহবধু ওয়ারী গ্রামে তার মামাত বোন বাউল শিল্পি রোকেয়া আফ্রাদের বাড়িতে যাবার সময় মিঠু মিয়া তাকে তার ঘরে নিয়ে আবার ধর্ষন করে।

ধর্ষনের শিকার প্রতিবন্ধী গৃহবধু সাংবাদিকদের জানান,মিঠু ঐদিন আমাকে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষন করে হাতে ১০ টাকার নোট গুচে দেয়। এর আগেও মিঠু আমাকে একাধিকবার ধর্ষন করে।
ধর্ষিতার ফুফাত বোন রোকেয়া আফ্রাদ বলেন,এ ঘটনায় পুলিশ থানায় ডেকে নিয়ে ধর্ষিতার সাথে কথা বলেন এবং তার কথা নোট করেন।

ওয়ারী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম ও পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রহমান ধর্ষনের ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন,মিঠু এর আগেও সম্পর্কে তার চাচী ও প্রতিবেশি এক শিশুর শ্লীলতাহানী করে। তবে যে মেয়েটিকে ধর্ষন করা হয়েছে। সে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। আমরা ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার বিচার চাই।
আমলাব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল হাসান ভূইয়া বলেন,ধর্ষন হয়েছে এরকম শুনিনি। তবে শুনেছি প্রতিবন্ধী ঐ মেয়েটিকে নাকি ১০ টাকা বিনিময়ে ঘরে নিয়ে গেছে। ব্যাপারটা সামাজিক ভাবে মিমাংসা করার কথা ছিল।
অভিযুক্ত মিঠুর বাড়িতে গিয়ে কাউকে না পেয়ে কথা হয় তার মা রেসমা আক্তারের সাথে,তিনি জানান তাদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে ঝগড়া দীর্ঘদিনের। আমার ছেলে মিঠু মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রভাবে আমার ছেলের উপর তারা খারাপ কথা বলছে।

বেলাব থানার এস আই মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন,ঘটনাটি শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কোন সত্যতা পাইনি।তাদেরকে থানায়ও ডেকে আনছিলাম। কিন্তু তারা ধর্ষনের কথা বলেনি এবং কোন অভিযোগও দায়ের করেনি।