আজ ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রায়পুরায় সন্ত্রাসী হামলায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ২ নেতা আহত

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদী রায়পুরায় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের হামলায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দুই নেতা আহত হয়েছে। সোমবার রাত ১১ টার দিকে আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এব‍্যাপারে রায়পুরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম (২৫) ও যুগ্ম সম্পাদক সুমন খন্দকার (২৪)। তারা হাসনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। আহত ছাত্রলীগ নেতারা বর্তমানে রায়পুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, সোমরার রাতে হাসনাবাদ বাজারস্থ আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে শরিফুল ও সুমন মোটরসাইকেল যোগে বাড়ী ফিরছিল। রাত ১১টার দিকে হাসনাবাদ স্কুলপাড়া এলাকার পাকা সড়কে রহমত আলী বিল্ডিংয়ের কাছে পৌছলে আমিরগঞ্জ গ্রামের সালাম খানের ছেলে মাকসুদ খান ও মৃত বকুল খানের ছেলে পাভেল খানের নেতৃত্বে এলাকার ১০/১২ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী দা, ছুরি, চাপাতি, লোহার পাইপসহ দেশিয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের গতিরোধ করে। এসময় মাকসুদ খান ভবিষ‍্যতে শরিফুল ও সুমনকে যেন দলীয় কার্যালয়ে না দেখা যায়। তার জন‍্য কার্যালয়ে  আসতে নিষেধ করে এবং গালিগালাজ করতে থাকে। এতে শরিফুল ও সুমন প্রতিবাদ করলে মাকসুদের নির্দেশে অন‍্যান‍্য সন্ত্রাসীরা তাদেরকে হত‍্যার উদ্দেশ‍্য  হাতে থাকা দা এবং চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। অপরদিকে মাকসুদ তার হাতে থাকা লোহার রড এলোপাথাড়ি পিটাতে থাকে। এক পর্যায়ে শরিফুল ও সুমন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ অবস্থায় মাকসুদ জোড়পূর্বক শরিফুলের পকেটে থাকা নগদ ৯ হাজার ২০০’ টাকা  এবং পাভেল সুমনের পকেট থেকে একটি এ‍্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসী হামলায় শরিফুল ও সুমন ডাকচিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে সন্ত্রাসীরা দ্রুত সরে পড়ে। পরে এলাকাবাসী এসে শরিফুল ও সুমনকে উদ্ধার করে রায়পুরা স্বাস্থ‍্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। বর্তমানে শরিফুল ও সুমন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনা শরিফুল ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪/৫ জন অজ্ঞাত রেখে রায়পুরা থানায় একটি অভিযোগ করেন।

হামলাকারীরা আমিরগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা বিপক্ষে নির্বাচনে অংশ নেয়া চেয়ারম্যান একেএম ফজলুল করিম ফারুক’র লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।

অভিযোগের বিষয়ে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল ইসলাম আমি জরুরি কাজে হেড কোয়াটারে আছি। তবে অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি এবং এব‍্যাপারে আমিরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি দায়িত্বে থাকা এসআই ফরিদ একশনে গিয়েছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...