আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিঠা উৎসবে রোগিদের ভোগান্তি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

নরসিংদীর রায়পুরায় সরকারী হাসপালের বহির্বিভাগের স্বাস্থ‍্যসেবা বন্ধ রেখে পিঠা উৎসবে মাতে ডাক্তার ও কর্মকর্তাগণ। উপজেলা স্বাস্থ‍্য কমপ্লেক্সে এমন ঘটনা ঘটে।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে পিঠা উৎসব শুরুর কথা থাকলেও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের আধা ঘন্টা পরে তা শুরু হয়।

পিঠা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা খলিলুর রহমান সজিবসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধান ও হাসপাতালের কর্মকর্তাবৃন্দ।

হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে পিঠা উৎসব আয়োজন করায় একই সময়ে হাসপাতালে আসা সাধারণ রোগীদের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ তোলে অনেকেই। এসময় স্বাস্থ‍্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ ও আন্ত:বিভাগ খোলা থাকলে বন্ধ রাখা হয় বহির্বিভাগ। ফলে দূরদূরান্ত থেকে স্বাস্থ‍্যসেবা নিতে আসা রোগিরা পড়ে ভোগান্তিতে। অনেককে স্বাস্থ‍্যসেবা না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা যায় এসময়। আবার অনেককে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোতে ছুটতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে স্বাস্থ‍্য কমপ্লেক্স এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতো বুধবার হাসপাতালে সেবা নিতে আসেন উপজেলার ২৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার রোগীরা। বেলা ১২টার আগেই আউটডোরে নেই কোন ডাক্তার। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি রুমে জাকজমকপূর্ণ ভাবে পালন করা হচ্ছিলো পিঠা উৎসব।

তবে কি রোগীদের থেকে পিঠা উৎসবটাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ..? না কি সরকারি নির্দেশনায় পিঠা উৎসব পালন করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এ আয়োজন..? রোগী ও সাধারণ জনগণের এমন নানা প্রশ্নে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন রোগী জানান, সরকারি হাসপাতালে পিঠা উৎসব এমনটা জীবনে প্রথম দেখলাম। আরও কি কি দেখতে হবে খোদাই জানেন।

রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খান মোহাম্মাদ নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর’র সাথে যোগাযোগ করতে তার মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি জানান, এটি কোন সরকারি প্রোগ্রাম নয়। এটি একটি ঘরোয়া প্রোগ্রাম।

সেবা কার্যক্রম ব্যাহত রেখে অফিস টাইমে হাসপাতালে পিঠা উৎসব করতে পারেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তো সব জায়গায় করা যায়। আমরা তো কোন সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখিনি। হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আমরা অনেক সময় বসি এভাবেই আমরা ঘরোয়া ভাবে পিঠা উৎসব করেছি। আমরা কোন সেবা কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করে তো করিনি। এটা নেগেটিভ ভাবে নেওয়ার কিছু নেই।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...