আজ ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লংগদুতে উদ্বোধনের অপেক্ষায় শেখ হাসিনার উপহারের ঘর 

 

সাকিব আলম মামুন
লংগদু (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ভূমি ও গৃহহীনরা পাচ্ছেন মাথা গোঁজার ঠাঁই।

আবারো উদ্বোধনের অপেক্ষায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চতুর্থ পর্যায়ের ৪৩টি ও তৃতীয় পর্যায়ের ৪০টি, মোট ৮৩টি ঘর। আগামী ২২মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থ ধাপে নির্মিত ঘরগুলো উদ্বোধন করবেন।

জমিসহ আধা-পাকা ঘর পেয়ে খুশি ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবার গুলো। এ ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়েছে ভূমিহীন ও গৃহহীন বিধবা, নিঃসন্তান দম্পতি যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিলো না। আজ তারা দুই শতাংশ জমিসহ পাকা ঘর পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন। চোখে মূখে আনন্দ।

উপকারভোগী বিধবা এক নারী রহিমা বেগমের কাঠ, বেড়া ও টিনের ছোট্ট একটা ঘর, দরজা-জানালাও ভগ্নদশা। জরাজীর্ণ ঘরের টিন নষ্ট হওয়াতে পলিথিন টাঙিয়েছে উপরে। সেই ঘরে বসবাস করতেন সন্তানদের নিয়ে। আজ এমন একটি স্বপ্নের ঘর পেয়ে আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন, শেখ হাসিনাকে আল্লাহ দীর্ঘদিন বাঁচায়ে রাখুক। তার জন্য মন ভরে দোয়া করি। শেখ হাসিনার জন্যই আজ মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছি।

ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন, তার আমলে ‘একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না, গ্রাম হবে শহর’। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় সারাদেশের ন্যায় রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ভূমিহীনদের জন্য ৮৩টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। নির্বাচিত ও যাচাই বাঁচাই করা ভূমি-গৃহহীনদের নামে এসব ঘরের দলিলও ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে।

আগামী ২২ মার্চ (বুধবার) ভূমিহীনদের মাঝে দলিল তুলে দেওয়া হবে। চতুর্থ পর্যায়ের ৭৫টি ঘরে মধ্যে এবার ৫০টি  কার্যক্রম চলছে তারমধ্যে ৪৩টির কাজ সম্পন্ন। বাকি ৭টি ঘরের কাজ চলমান। এরমধ্যে রয়েছে আটারকছড়া ইউনিয়নে ৯ টি, কালাপাকুজ্জ্যা ইউনিয়নে ৬ টি, গুলশাখালী ইউনিয়নে ৬ টি, বগাচতর ইউনিয়নে ১১ টি, ভাসান্যাদম ইউনিয়নে ১ টি এবং মাইনীমূখ ইউনিয়নে ১৭টি ঘর।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান জানান, প্রতিটি ঘর দুই শতাংশ জমির উপর দুই লক্ষ চুরাশি হাজার পাঁচশ টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষবিশিষ্ট ওয়ালসেড ও পাকা ল্যাট্রিন, রান্নাঘর সহ নির্মাণ করা হয়েছে।

লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকিব ওসমান বলেন, প্রতিনিয়ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণস্থলে গিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ প্রকল্পের কাজ তদারকি করছি। উপজেলা মনিটরিং টিমও নিয়মিত দেখাশোনা করছেন। প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীনদের মাঝে দলিল সহ ঘর বুঝিয়ে দিবেন। এরপর থেকে তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবে। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে। অন্যের আশ্রয়ে বা পথে ঘাটে পড়ে থাকা এসব ভূমি ও গৃহহীনদের হবে মাথা গোঁজার ঠাঁই।

প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘরগুলো যথাযথ মান বজায় রেখে স্থায়ী ও টেকসই উন্নত মানের মালামাল ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বক্ষণিক নজরদারি এবং উপজেলা মনিটরিং টিমের তদারকিতে ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, এর আগে উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ভূমি ও গৃহহীন ২৪৫ পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...