খেলাধুলা ডেস্ক–
একে একে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিলের নেইমার পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো ফুটবল আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র। ৩২ দল ঠেকেছে ৪ দলে।
ফুটলব দুনিয়ার নেইমার রোনালদোর মত বাঘা বাঘা খেলোয়ার বিদায় নিলেও এখনো
স্বপ্ন কেবল বাঁচিয়ে রেখেছেন আর্জেটিনার লিওনেল মেসি।
বাতাসে বাজছে বিউগলের করুণ সুর। মরুর বুকে পর্দা ওঠা ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো আর্থে’ গত এক মাস যে উৎসবে বুঁদ ছিল গোটা দুনিয়া। শিরোপা নিতে এসে পরাজয় বরণ করে অনেক তারকারাই এখন দর্শক। তবে এখনও আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি।
২০১৪ বিশ্বকাপে শিরোপার খুব কাছাকাছি গিয়েও আর্জেটিনাকে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে ফিরতে হয়েছিল। এবার শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামা মেসির জন্যও সোনালি ট্রফিটা ছুঁয়ে দেখার শেষ সুযোগ। তার হাত ধরে আকাশী-সাদাদের ৩৬ বছরের শিরোপা খড়া ঘোচাতে মরিয়া স্ক্যালোনি বাহিনী।
আসরের প্রথম সেমিফাইনালে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১ টায় লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া ও আর্জেন্টিনা।
লিওনেল স্ক্যালোনির দল শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রাখতে যখন বদ্ধপরিকর, অন্যদিকে কোয়ার্টার ফাইনালে টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট ব্রাজিলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়া ক্রোয়েশিয়ার লক্ষ্য টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলা।
অন্যদিকে আর্জেটিনারও লক্ষ্য কাপ নেয়া। দু দলই আজ তাদের সেরাটা উপহার দিবেন ফুটবল প্রেমীরা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাঁচবারের মুখোমুখি দেখায় সমানে সমান দল দুটি। লে আলবিসেলেস্তেদের দুই জয়ের বিপরীতে ক্রোয়াটরাও জিতেছে দুটি ম্যাচ, ড্র হয়েছে একটি ম্যাচ।
এবার জেনে নেওয়া যাক, আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি দেখায় কেমন ছিল তাদের কৌশল-
আর্জেন্টিনা: ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা খানিকটা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে একাদশ সাজায়। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলছে, ব্যাকলাইনে চারজন রেখে মাঝমাঠ তিনজন আবার কখনও চারজনকে নিয়ে ফরমেশন সাজানো হয়। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে দুই দলের হেড টু হেড ম্যাচ বিশ্নেষণ করলে দেখা যায়, আর্জেন্টিনা ক্রোয়েশিয়াকে আটকাতে শুরুতে বলের পজেশনটা ঠিক রাখে। এরপর দ্রুত আক্রমণ শানায়। লং পাসে খেলতে কমই দেখা যায় তাদের। মাঝমাঠ থেকে দুই উইং বা ডি বক্সের ভেতরে জটলা ভেঙে সাফল্য পেতে চায়।
ক্রোয়েশিয়া: বল দখলে রাখার প্রতি বেশি মন নেই তাদের। মাঝমাঠে বলটা কিছুক্ষণ আটকে লং শটে বা কাউন্টার অ্যাটাকে রক্ষণ ভাঙতে চায়। সে ক্ষেত্রে আগের ম্যাচগুলোতে দেখা যায়, আর্জেন্টিনার গোলমুখে তেমন একটা শট না নিতে পারলেও অল্প শটেও দারুণ সফল দলটি। আর ম্যাচের লিড নেওয়ার পর রক্ষণ দেয়ালে নতুন কোনো সেনানী যোগ করে না। উল্টো পিছিয়ে থাকা আর্জেন্টিনার ওপর আক্রমণের চাপ বাড়িয়ে যায়। যেটা ক্রোয়েশিয়ার ভয়ংকর একটা রূপ।
Leave a Reply