মনোহরদী থেকে আবু সায়েম:
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে জমে উঠেছে মনোহরদী উপজেলার কোরবানির পশুর হাট গুলো। ঈদ যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে বেচাকেনা। ক্রেতাদের পাশাপাশি হাটগুলোতে ভিড় করছেন পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা থেকে আসা ব্যাপারীরা।
ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় স্থায়ী – অস্থায়ী ১৫টি হাট বসে। ধারাবাহিকভাবে এসব হাটে পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। শনিবার উপজেলার অন্যতম বড় পশুর হাট ছিল শেখের বাজার হাট। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির গরুর দাম বেশি বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা। সরজমিন হাটে গিয়ে দেখা যায়, জমে উঠেছে শেখার বাজার, রতখোলা গরুর হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ছোট-বড় ষাঁড়, বলদ, বকনা, গাভী মিলিয়ে প্রায় ১০ সহস্রাধিক গরু হাটে এসেছে। তবে হাটে ছোট ও মাঝারি গরু বেশি দেখা গেছে।
বাজারে ছোট আকার গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। মাঝারি আকারের গরু ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। ছোট আকারের মহিষের দাম চাওয়া হচ্ছে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং বড় আকার মহিষ দুই লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা। ছোট খাসির দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং মাঝারি আকারের খাসি দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা।
উপজেলার চালাকচর গ্রামের খামারি মো. আব্দুল্লাহ জানান, ৫টি ষাঁড় এনেছেন তিনি। প্রতিটি গরুর দাম হাঁকাচ্ছেন ৭৫-৯৫ হাজার টাকা। অপর খামারি বেলাল হোসেন জানান, গরুর খাদ্যের দাম বেশি।
বছরে একটি গরু বড় করতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এমতাবস্থায় প্রতিটি গরু গড়ে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে না পারলে লাভ হবে না। শেখের বাজার হাটের ইজারাদার বলেন, গরু ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বিষয়ে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং পরামর্শে খামারিরা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন বলে দাবি করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহফুজ ভূইয়া।
মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান,স্হায়ী অস্থায়ী গরুর বাজারে সাদাপোষাকদারী পুলিশ সবসময় নজরদারী রাখছে। এদিকে দুর্বৃত্তরা জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে যেন সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য হাটে পুলিশ তৎপর রয়েছে। ত্রুেতাও বিক্রেতা জাতে জাল টাকার নোটের ব্যাপারে সজাগ থাকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে হাট গুলোতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন দফতরের অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া বাজারে জাল টাকার ব্যবহার প্রতিরোধ করার জন্য ট্যাগ টিমের মাধ্যমে নিয়মিত চালানো হচ্ছে অভিযান।
Leave a Reply