নরসিংদী প্রতিনিধিঃ

নরসিংদীর মাধবদীতে পৃথক স্থান থেকে মন্নাফ হোসেন মুন্না (১৮) ও রিয়া মণি দাস (১৮) নামে গৃহবধূসহ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) মাধবদী পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের বিরামপুর ও নুরালাপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বিরামপুর মহল্লার তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে ওই তরুণ এবং গৃহবধূর মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত তরুণ মুন্না, পৌর শহরের উত্তর বিরামপুর মহল্লার মৃত হালিম ড্রাইভারের বাড়ির ভাড়াটিয়া লুৎফর মন্ডলের ছেলে ও নিহত গৃহবধূ রিয়া মণি নূরালাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বিরামপুর মহল্লার কালিবাড়ি এলাকার প্রবাসী জুবায়ের স্ত্রী। তার একটি সন্তান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ নিয়ে অকৃতকার্য হয় মুন্না। এতে প্রায় সময়ই তার মন খারাপ থাকতো। বৃহস্পতিবার সকালে মুন্নার মা ছেলের রুমের দরজা ধাক্কা দিলে ভিতর থেকে কোন সারা না পেলে তার সন্দেহ হয়। পরে রুমের পিছনে জানালা দিয়ে উকি দিয়ে দেখতে পায় রুমের ভিতরে মুন্না মৃতদেহ পড়ে আছে। এ অবস্থায় ডাক- চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভাঙ্গে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে মাধবদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থরে উপস্থিত হয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

অপরদিকে দক্ষিণ বিরামপুর মহল্লার কালিবাড়ি এলাকার প্রবাসী জুবায়ের স্ত্রী এক সন্তানের জননী রিয়া মণির রুমে দরজা সকালে বন্ধ দেখতে পায় শ্বশুর বাড়ীর লোকজন। বেলা বাড়তে থাকার পরেও দরজা না খোলা তাকে ডাকাডাকি করতে থাকে। কিন্তু ভিতর থেকে কোন প্রকার সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

এদিকে নিহত রিয়া মণির মৃত্যু নিয়ে পুরো এলাকায় ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পিতা আব্দুল হালিম বলেন, আমার মেয়েকে তার শ্বাশুড়ি ও ননদ মিলে মেরে ফেলেছে। তারা বিভিন্ন সময় রিয়ামনিকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। তারাই রিয়ার মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে দাবি করেন তিনি।

মাধবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামজ্জামান মিলন মরদেহ দুটি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা গুলো পৃথক পৃথক স্থানে ঘটেছে। এখনো পর্যন্ত ঘটনার মোটিভ সম্পর্কে জানা যায়নি তবে তদন্ত করে সম্পূর্ণ বিষয় জানা যাবে বলে জানান তিনি।