নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সরকারি গ্যাজেট অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী বাংলাদেশের প্রচলিত কোন রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক পদে থেকে রাজনীতি করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে নিয়মের তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ধানমন্ডি থানাধীন ১৫ নং ওয়ার্ডের ৩ ইউনিটির সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন সরকারি কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা ড্রাইভার মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন। তিনি ৩ নং ইউনিটে দীর্ঘদিন ধরে সহ-সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
বর্তমান ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতাল এলাকায় ভ্রাম্যমান দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়, মাদক কারবারিদের রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে কামিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। বোরহানউদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় রয়েছে বেশ কিছু অভিযোগ। অভিযোগ থাকলেও থানায় নিয়মিত মাশোহারা দেয়ার ফলে তার বিরুদ্ধে নেওয়া হয় না কোন ব্যবস্থা। তার ওয়ার্ডের জনগণ ও রাজনৈতিক দলের সকলেই জানেন তিনি একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা।
নেতাকর্মীদের সাথে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করলেও ইউনিটের সভাপতি হওয়ায় তার ক্ষমতার ভয়ে কেউ কিছু বলেন না। বোরহানের বিরুদ্ধে আইজিপি অফিস ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইজিপি অফিসে একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
একজন সরকারি কর্মচারী কিভাবে রাজনৈতিক দলের পদে থাকেন এ বিষয়ে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের উপ-সচিব মোহাম্মদ রায়হান কাউসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি আমাদের অফিসে চাকরি করেন ড্রাইভার হিসেবে। অবশ্যই কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সরাসরি দলীয় পদে থেকে রাজনীতি করতে পারবেন না। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কার্যবিধি মোতাবেক আগামীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে দেখা গেছে, দলীয় পদে থেকে কামিয়াছেন কয়েক কোটি টাকা। নিজ অফিসে তেল চুরির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দরিদ্র ও অসহায় ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা তার অত্যাচারের কাছে অসহায় ও জিম্মি। যেহেতু পেটের তাগিদে তাদেরকে ব্যবসা করতে হয় তাই তার অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছে। ইউনিটের দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা বোরহানউদ্দিনের পদত্যাগ চান।
ধানমন্ডি থানার ১৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমরা সকলেই জানি তিনি একজন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় পদে রয়েছেন। সরকারি কর্মচারী হয়ে কিভাবে দলীয় পদে থাকেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, যেহেতু এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে আমরা শুনেছি তার দপ্তরে এক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যে ব্যবস্থা নিবেন আমরা সেই ভাবে নির্দেশনা পালন করব। তবে বেশ কিছু অভিযোগ বিশেষ করে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আমরা বিষয়টা তদন্ত করে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদকঃ শেখ আব্দুল জলিল, প্রধান সম্পাদকঃ শেখ শহীদ কায়সার, ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ উম্মে দিল আফসানা
সহ সম্পাদকঃ জান্নাতুল ফেরদাউস, বার্তা সম্পাদকঃ মোঃ আশিকুর রহমান সৈকত।
Office: Holding #535/1/A, Flat No:4B. South Monipur, Mirpur -1216 Dhaka, Bangladesh.
E-mail: narsingdipost@gmail.com Editor: 01736065708
Copyright © 2024 Narsingdi Post. All rights reserved.