আজ ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বেলাব উপজেলার উজ্জ্বল নক্ষত্র কবি মরিয়ম আক্তার বিউটি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মরিয়ম আকতার বিউটি জন্ম ১৯৭৯ সালের ২১ শে নভেম্বর, নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার মজলিস পুর গ্রামে নানার বাড়িতে । বাবার বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার গির্জ্জাপাড়া গ্রামে ( খাঁন বাড়ি) বাবার নাম, মরহুম মিনারুল হক খাঁন, মা , মরহুমা বিলকিস বেগম । মায়ের মৃত্যুর মাত্র সাত মাসের মধ্যেই বাবাকে হারায় কবি। চার ভাই – বোনের মধ্যে কবিই সবার বড়।
কবির বড় হওয়া, বেড়ে উঠা সব চট্টগ্রামে।
শৈশব, কৈশর ও যৌবন কাল কাটে চট্টগ্রামেই, বাবার ব্যবসার সুবাদে।
ছোটবেলা থেকেই কবি স্বল্প ভাষী, চিন্তাশীল, জ্ঞাননিষ্ঠ, মেধা ও মননের অধিকারী ছিলেন।
চট্টগ্রামের ” বলুয়ার দীঘি সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ”
থেকে ১৯৯৫ সালে, এস এস সি পাশ করেন। পরে চট্টগ্রাম সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ১৯৯৭ সালে এইচ এস সি এবং ১৯৯৯ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
তারপর ১৯৯৯ সালেই বাবা – মা আর পরিবারের সকলের পছন্দে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নরসিংদী জেলার বেলাবো থানার, মাটিয়াল পাড়া গ্রামে।
স্বামী পেশায় ব্যবসায়ী। স্বামী, এক ছেলে আর এক মেয়ে নিয়ে কবির সংসার।
বাবা, মা আত্মীয় – স্বজন সকলের খুব আদরে বড় হয়ে উঠেন কবি, তারপর হয়ে উঠেন, বন্ধু – বান্ধবের সকলের চোখের মনি।
স্কুল জীবন থেকেই লেখা- লেখি করতেন একটু – আধটু, কিন্তু বিয়ের পর, পারিবারিক আর সংসারের চাপে লেখার অদম্য ইচ্ছে প্রস্ফুটিত হতে পারেনি।
তা-ই এত দিন তার শৈল্পিক মনের সৌন্দর্যের ও পূর্ণতা পায় নি।
তবে স্কুল ও কলেজ জীবনে লেখা – লেখি, খেলাধূলা আরো বিভিন্ন বিষয়ে কৃতিত্বের সহিত বিভিন্ন পুরষ্কার অর্জন করেন।
ছোটবেলা থেকেই কবির জীবনের লক্ষ্য ছিলো, একজন ভালো মনের লেখিকা হবেন।
২০২২ সালে ডিসেম্বর মাসে ” পাতার নূপুর ” শিরোনামে কবির প্রথম একটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ এবং একুশে বই মেলা ২০২৩ শে ” রুপালী জোছনা ” শিরোনামে কবির একটি একক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
এছাড়া ও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে, কবিতা নিয়ে সুনামের সাথে অনেক সনদ আর সম্মাননা ও অর্জন করেন।
কবি বলেন,
আমি কোনো লেখক বা কবি নই।
তবে লিখতে আমি ভালোবাসি।
বিশেষ করে ছন্দ কবিতা আমার খুব ভালো লাগে, আর তা-ই আমি, ছন্দ কবিতাই লিখি বেশি।
তবে অনেক লেখকের বেশির ভাগ কবিতার বিষয় বস্তু এমন কঠিন ভাষায় থাকে, যা আমার মতো ক্ষীণ জ্ঞানের মানুষের পক্ষে অনুধাবন করা দুষ্কর হয়ে পড়ে।
আর তা-ই আমি আমার ” অব্যক্ত কষ্ট ”
কাব্যগ্রন্থের সব কবিতা গুলো অতি সহজ ভাষায় তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি, যাতে সকল স্তরের পাঠকদের মনের খোরাক জোগাতে সক্ষম হই।

প্রত্যেকের জীবনে এমন কিছু কষ্ট থাকে, যা কখনো কারো কাছে শেয়ার করা যায় না , কিংবা মন খুলে কারো কাছে প্রকাশ করার ও উপায় থাকে না ।
সে কষ্ট হতে পারে, না পাওয়ার যন্ত্রণার
কিংবা হতে পারে, পেয়ে হারানোর বেদনার।
কিন্তু মানুষ স্বভাবতই শত দুঃখ, কষ্ট আর যন্ত্রণার মাঝে ও খানিকটা সুখের ছোঁয়া পেতে চায়।
আর সে সুখের পেছনে ছুটতে গিয়ে মানুষ ব্যর্থ হয়ে আমৃত্যু দহন- ক্রিয়ায় দগ্ধ হচ্ছে রোজ।
জীবনের নানামুখী জটিলতা, সমস্যায় জর্জরিত মানুষ গুলো হন্যে হয়ে মরিচীকার পিছু ধারণ করে একটু সুখ, একটু ভালোবাসা পেতে।
মানুষের সে কষ্ট , দুঃখ, হতাশা আর একাকীত্বের দুর্বিষহ যন্ত্রণাকে পেছনে ফেলে, কিভাবে নতুন উদ্দ্যোমে নিজেকে সামনের দিকে ধাবিত করতে পারবে, সে-ই আশার সঞ্চারণা আমি আমার কবিতার মধ্যে জাগাতে চেষ্টা করেছি। আমি অত্যন্ত আশাবাদী, আমার ” অব্যক্ত কষ্ট ” কাব্যগ্রন্থের প্রতিটা কবিতাই পাঠকের মনে স্থান করে নিবে।
তবেই আমার চেষ্টা ও শ্রম স্বার্থক হবে, আর স্বার্থক হবে আমি লিখা ।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...