জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী:
শেষ মুহূর্তে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যদিয়ে নীলফামারী জেলা প্রেসক্লাব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামীকাল (১৭ফেব্রুয়ারী) নীলফামারী প্রেসক্লাব এর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন।
প্রেসক্লাবের ২১টি পদের বিপরিতে ইতোমধ্যে তিনজন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আরও ১৪টি পদের বিপরিতে লড়ছেন ২৭জন প্রার্থী। সভাপতি পদে ২জন, সহ-সভাপতির চারটি পদের বিপরিতে ৫জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের ২টি পদের বিপরিতে ৩জন, অর্থ সম্পাদক পদে ২জন, দফতর সম্পাদক পদে ২জন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ২ এবং ৭টি পদের বিপরিতে ১০জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
এরই মধ্যে সভাপতি পদে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের নীলফামারী প্রতিনিধি এবি এম মনজুরুল আলম সিয়াম। এর আগে তিনি নীলফামারী প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। তার জন্ম নীলফামারী জেলা জলঢাকা উপজেলার খুটামারা এলাকায় । তিনি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সন্তান। তার পিতা মো: আনছার আলী একজন শিক্ষক। দুই ভাই, তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।
তিনি ২০০৫ সালে একুশে টেলিভিশন মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করে নীলফামারীতে প্রতিষ্ঠিত এক রাজাকারকে নিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করে। একুশে টেলিভিশনে প্রচার হলে রির্পোটটি নিয়ে পুরা বিশ্বে আলেচিত হয়।
পরবর্তীতে নদী ও জল’ ‘তিস্তা বাঁচাও’ খেলাঘর আসর সহ বিভিন্ন সংস্থার সম্মাননা স্মারক তার জীবনের প্রাপ্তির ঝুলিটিতে পড়ে।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের প্রতিনিধি মঞ্জুরুল আলম সিয়াম বলেন, নীলফামারীর সাংবাদিক অঙ্গণে অনেক অভাব রয়েছে। প্রেসক্লাব ভবন থেকে শুরু করে সাংবাদিকদের কল্যাণে অনেক পরিবর্তন আসা দরকার।
তিনি আরও বলেন, আমার প্যানেল জয়ী হলে আমুল পরিবর্তন ঘটানো হবে। সাংবাদিকদের কলম দিয়ে সকল অন্যায় এবং দুনীতি দুর করতে চান তিনি। সাংবাদিকদের মান উন্নয়নে কাজ করবো। আগামীকাল (১৭ ফেব্রুয়ারী) প্রেসক্লাবের ভোটে আমার প্যানেলকে ভোটাররা ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।
Leave a Reply