নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী জেলা সদর উপজেলার রামগঞ্জ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ভোটার তালিকা প্রণয়নে নানা অনিয়মসহ বৈধ ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত না করে অবৈধ ভোটারের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি গঠনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৈধ ভোটারদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকের কারসাজিতে ভোটাধিকার হতে বঞ্চিত হয়েছেন তারা।
অভিযোগে আরো বর্ণিত, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম অন্যান্য শ্রেণী শিক্ষকগণদের যোগসাজসে উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ভাবে বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করেই নিজের ইচ্ছেমত বৈধ ও অবৈধ ভোটার মিলে তালিকা প্রনয়ন করে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পায়তারা করছেন তিনি।
বুধবার সকালে রামগঞ্জ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে, সুবাস রায়, মতিয়ার রহমান, বকুল দাস, পুর্ণদাসসহ স্থানীয় অনেক অভিভাবক সদস্য অভিযোগ করে বলেন, “আমরা বৈধ অভিভাবক। এই বিদ্যালয়ে আমাদের সন্তানেরা অধ্যায়ন করে। বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক প্রভাবিত হয়ে অন্যান্য শ্রেণী শিক্ষকগণের সহায়তায় উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমাদের নাম ভোটার তালিকা হতে বাদ দিয়ে অবৈধ অভিভাবক সদস্য বানিয়ে চুপিসারে কৌশলে অভিভাবক সদস্যের তালিকা ও ভোটার তালিকা প্রনয়ন করে লোক দেখানো নির্বাচনের মাধ্যমে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পায়তারা করছেন তিনি”।
অভিযোগের এ বিষয়ে জানতে চাইলে, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো. শফিয়ার রহমান জানান, “সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম মহোদয় ভোটার তালিকা প্রনয়ন থেকে শুরু করে সবকিছুই উনিই দেখেছেন, উনিই প্রস্তুত করেছেন, আমি শুধু স্বাক্ষর দিয়েছি। কোন বৈধ অভিভাবক সদস্যের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হলে, বা ইচ্ছেকৃত ভাবে অন্তর্ভুক্ত না করলে, বিষয়টি সম্পুর্ণরুপে সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলামের উপরই বর্তায়।
এ বিষয়ে রামগঞ্জ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, “আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ভোটার তালিকা প্রস্তুত এর বিষয়ে যে অসংগতি রয়েছে সেটি সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম এর সময়েকার। তাই বিষয়টি উনিই ভালো জানবেন”।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, “রামগঞ্জ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ভোটার তালিকার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। সেটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের পর তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদকঃ শেখ আব্দুল জলিল, প্রধান সম্পাদকঃ শেখ শহীদ কায়সার, ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ উম্মে দিল আফসানা
সহ সম্পাদকঃ জান্নাতুল ফেরদাউস, বার্তা সম্পাদকঃ মোঃ আশিকুর রহমান সৈকত।
Office: Holding #535/1/A, Flat No:4B. South Monipur, Mirpur -1216 Dhaka, Bangladesh.
E-mail: narsingdipost@gmail.com Editor: 01736065708
Copyright © 2024 Narsingdi Post. All rights reserved.