নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
রায়পুরার আদিয়াবাদে গলাকাটা ও চোখ উপড়ানো অবস্থায় রায়হান উদ্দীন (৪৫) নামে এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের একটি জমির পাশ থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত কৃষক রায়হান উদ্দীন উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। এর আগে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর একই ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির কলাবাগান থেকে পাশ্ববর্তী শিবপুর উপজেলার যশোর ইউনিয়নের পাহাড়ফুলদী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে দ্বীন ইসলাম(৩৪) ও রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে আলী হোসেন নামে দুই যুবকের গলাকাটা ও ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে এ উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নেই গত ৫ মাসে তিনজনকে গলা কেটে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটলো।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল রবিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে রায়হান উদ্দীন বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় নিহতের ৪ মেয়ে অনেক রাত পর্যন্ত বাবার ফেরার অপেক্ষা করে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে তারা খবর পায় বাড়ির পাশে একটি ঘাস জমিতে রায়হানকে কে বা কারা গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, আজ সোমবার সকালে তারা নয়াচর গ্রামের একটি ঘাস জমিতে রায়হানের গলা কাটা লাশ পড়ে আছে দেখতে পায়। পরে তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের মেয়ে মারজিয়া আক্তার জানান, রবিবার রাত সাড়ে ৯ টায় বাড়ি থেকে বের হয় তার বাবা রায়হান উদ্দীন। অনেক রাত পর্যন্ত তারা তাদের পিতার ফেরার অপেক্ষায় সজাগ ছিল। পিতা রায়হানের সাথে কোন মোবাইল ফোন না থাকায় বাবার খোঁজ নিতে পারেনি তারা। সকালে তারা খবর পায় স্থানীয়সু লতান মিয়া নামে এক ব্যক্তির ঘাস ক্ষেতে গলাকাটা ও বাঁ চোখ উপড়ানো অবস্হায় তাদের পিতার লাশ পড়ে আছে। তবে কারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে এ ব্যাপারে তারা কোন ধারনা দিতে পারেনি।
উল্লেখ্য, মৃত রায়হান উদ্দিন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য নাদিম উদ্দিন সোজালের বড় ভাই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ জানান, প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি একটি হত্যাকান্ড। এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের পাশাপাশি ডিবি ও পিবিআই সদস্যরা কাজ করছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply