আজ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাংচুর, মারধর, লুটপাট – গ্রেপ্তার ১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে মারাত্মক জখম করার ঘটনা ঘটেছে। আহতরা বর্তমানে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এঘটনায় থানায় অভিযোগ করলে ঘটনার মূল হোতা রিপন মিয়াকে (৪৪) আটক করেছে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে তিন ফুট লম্বা একটি ধারালো রামদা উদ্ধার করা হয়।
তথ্যটি নিশ্চিত করেন করিমপুর বিট ইনচার্জ এস আই মোঃ মনোয়ার হোসেন।
অভিযুক্তরা হলেন, করিমপুর ইউনিয়নের করিমপুর বিলপাড় গ্রামের মৃত বজলু মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (৪৪), রিপন মিয়ার ছেলে নূরে আলম (১৯), রিপন মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৩৭) ও আনু মিয়ার স্ত্রী আছিয়া বেগম (৬০)।

রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের করিমপুর বিলপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়,খালেক মিয়ার ভাতিজা মোবারককে প্রতিবেশী নূরে আলম প্রায়ই সময় মোবাইল ফোনে নিজের কন্ঠ পরিবর্তন করে মেয়েদের কন্ঠ ধারণ করে বিরক্ত করে আসছিল।
নূরে আলম প্রায়ই সময় ফোন করে তাকে বিরক্ত করে এবং আজেবাজে কথা বলে গালমন্দ করে।
পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে নূরে আলম ক্ষিপ্ত হয়ে তার পরিবারের লোকজনসহ গত শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে খালেকের বাড়িতে গিয়ে অশ্লীল ভাষায়
গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসে।
পরদিন রবিবার খালেক মিয়া বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানিয়ে বিচার চায়।এতে রিপন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে দুপুর ১টায় নূরে আলম, হোসনে আরা ও আছিয়াসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের একটি দল রামদা, চাপাতি, শাবল,ও লাঠি নিয়ে খালেকের বাড়িতে হামলা করে খালেক মিয়া ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগমকে (৪৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
ভুক্তভোগী খালেক মিয়া বলেন, রিপন মিয়া তার ছেলে নূরে আলমের নেতৃত্বে রামদা, চাপাতি ও কুড়াল হাতে নিয়ে আমাকে প্রানে মেরে ফেলার জন্য আমার বাড়ীতে আক্রমণ চালায়। বাড়ীতে আমি ও আমার স্ত্রী ছিলাম। রিপন আমার উপর হামলা করলে আমাকে বাঁচাতে আমার স্ত্রী এগিয়ে এলে রিপনের দায়ের কোপে আমার স্ত্রী আহত হয়। পরে তারা আমাকে ও চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে। এতে আমি ও আমার স্ত্রী গুরুতর আহত হই। পরে তারা আমার বাড়ির বেড়া ও ঘরের ভিতরের আসবাবপত্র ভাংচুর এবং গয়না লুট করে। এ সময় আমার ও আমার স্ত্রীর ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আমাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...