নিজস্ব প্রতিবেদক —
চট্টগ্রামে আলোচিত শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের লাশের খন্ডিত দুই পায়ের অংশ পাওয়া গেছে।
তবে উদ্ধার হওয়া এসব অংশ আয়াতের কিনা তা নিশ্চিত হতে তার পরিবারের সদস্যের সঙ্গে ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ বুধবার বিকাল তিনটার দিকে নগরের বন্দরটিলা আকমল আলী রোড এলাকার একটি নালা থেকে তার লাশের খন্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রামের পরিদর্শক মনোজ দে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হত্যা মামলাটির তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আবির যেখানে আয়াতের দেহ থেকে দুই পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে দেওয়ার কথা বলেছিল তার আশপাশ এলাকা থেকেই পা দুটো উদ্ধার করা হয়েছে। দেহের বাকি অংশও খুজা হচ্ছে।
আসামির স্বীকারোক্তির সঙ্গে মিললেও পা দুটি সুরতহাল করে ডিএনএর নমুনা নেওয়ার জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুই পায়ের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে আয়াতের বাবা সোহেল রানা এবং মা সাহিদা আক্তার তামান্নার ডিএনএর নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে।
শিশু আয়াতের দাদা মনজুর হোসেন বলেন, কোমরের নিচ থেকে পা পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এগুলো আমার নাতনির। সে কেন আমার নাতনিকে নৃশংসভাবে হত্যা করলো জানিনা। তার ফাঁসি চাই।
শিশু আয়াতকে হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরো করে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আবিরকে গ্রেপ্তারের পর তার বাবা-মা-বোনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবিরের বাবা-মার তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এছাড়া আবির দ্বিতীয় দফায় সাতদিনের রিমান্ডে রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা ওয়াজ মুন্সিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শিশু আয়াত বাসার পাশে মক্তবে পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজের ১০ দিন পর আয়াতের পরিবার জানতে পারে, প্রতিবেশী আবিরই তাকে অপহরণের পর হত্যা করেছে।
পুলিশ বলছে, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আয়াতকে অপহরণ করে আবির। মুক্তিপণে ছয় থেকে সাত লাখ টাকা দাবি করার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু মুঠোফোন কাজ না করায় অপহরণের মুক্তিপণ দাবি করতে পারেননি বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় আবির।
এরপর শিশুটি চিৎকার করতে চাইলে প্রথমে তাকে গলা টিপে হত্যা করে সে। এরপর তার মরদেহ ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেয়।
Leave a Reply