স্বাস্থ্য ডেস্ক—
দ্রুত বাড়ছে চোখ উঠা রোগ। ঘরে ঘরে এখন প্রতিদিনই বাড়ছে চোখ উঠা রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসকরা বলছেন এ রোগে কেউ আক্রান্ত হলে ভয় না পেয়ে মানতে হবে বেশকিছু নিয়ম। সেই সাথে চোখ উঠা রোগীদের লোকালয়ে না গিয়ে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চোখ ওঠা রোগ বা কনজাংটিভাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে দিন দিন এ রোগে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বিমানবন্দরগুলোতে।
করোনার পর এবার দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে চোখ ওঠা রোগ বা কনজাং-টিভাইটিস ভাইরাস।
কনজাঙ্কটিভাইটিসের লক্ষণ হলো চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়। পরে অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে।
এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ও লাল হয়ে যায়। আলোয় চোখে অস্বস্তি বাড়ে।
ছোঁয়াচে ও অতি সংক্রমণশীল এই ভাইরাসটি খুব ক্ষতিকর নয়।
দেশে হঠাৎ করেই বেড়েছে এই চোখের সংক্রমণ। যা সাধারণ ভাবে চোখ ওঠা নামে পরিচিত। এই অবস্থায় আক্রান্তদের বিদেশ ভ্রমণে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
দেখা গেছে চোখ উঠা রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
চক্ষু চিকিৎসকরা জানান, এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কিছু নেই। এটি এক ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ। এক সপ্তাহের মধ্যে তা সেরে যায়।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আর সাধারণ চিকিৎসাতেই এটি সেরে যায়। তবে, রোগটি যেহেতু ছোঁয়াচে তাই রোগীদের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
এ রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে ছড়ায়। রোগীর ব্যবহারের রুমাল, তোয়ালে, বালিশ অন্যরা ব্যবহার করলে এতে আক্রান্ত হয়। এছাড়া এটি বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়।
আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাবান পানি দিয়ে কিছুক্ষণ পর পরই হাত পরিষ্কার করতে হবে। কোন কারণে চোখ ভেজা থাকলে চোখ টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে।
ব্যবহারের পর টিস্যু পেপারটি অবশ্যই ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে হবে। এছাড়া চোখ উঠলে কালো চশমা ব্যবহার করা সবচেয়ে ভাল।
এতে চোখে স্পর্শ করা কমবে এবং ধুলাবালি, ধোঁয়া থেকে চোখ রক্ষা পাবে। আলোয় অস্বস্তিও কমবে। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শে ড্রপ ও ওষুধ ব্যবহার করা যায়।
Leave a Reply