আজ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নৌকায় ত্রাণ নিয়ে বানভাসি মানুষের দুয়ারে ডিসি!

আশরাফুল হক, লালমনিরহাট

বন্যা কবলিদের হাতে ত্রাণ পৌছে দিতে নৌকায় ত্রানের বস্তা নিয়ে ছুটছেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি)আবু জাফর।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকালে ত্রানের প্যাকেট নৌকায় নিয়ে ছুটছেন তিস্তার বামতীরের দুর্গম চরাঞ্চলের বন্যার্তদের পাশে। নিজ হাতেই ত্রাণের প্যাকেট তুলে দেন ডিসি।

জানা গেছে, উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষনে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে বামতীরের জেলা লালমনিরহাট প্লাবিত হয়। জেলার নদী তীরবর্তি নিম্নাঞ্চলের প্রায় ১০/১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও জিআর চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়। যা সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন বিতরন করে।
টানা দুই দিন বন্যায় পানিবন্দি থাকলেও বুধবার বন্যার উন্নতি ঘটে লালমনিরহাটে। তবে পুরোপুরি পানিবন্দি থেকে মুক্তি মেলেনি বানভাসিদের।
দুর্গম চরাঞ্চলের কেউ ত্রাণ বঞ্চিত কি না তা পরিদর্শন ও খবর নিতে নৌকা নিয়ে তিস্তার দুর্গম চরাঞ্চলে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর। পরম যত্নে নিজ হাতে ত্রান তুলে দেন বন্যার্তদের হাতে। দুর্গম চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া বন্যার্তরা জেলা প্রশাসককে কাছে পেয়ে কষ্টের মাঝে আপ্লুত। তবে এসব লোকের দাবি শুধু ত্রাণ নয়, তারা তিস্তা নদীর স্থায়ী সমাধান চান। তারা চান, তিস্তা খনন দুই পাড়ে স্থায়ী বাঁধ করা হোক। তিস্তাপাড়েরর বন্যার্তদের এ দাবি সরকারের উচ্চ পর্যয়ে পৌছানোর আশ্বাস দেন ডিসি আবু জাফর।

সদরের চর গোকুন্ডা গ্রামের বজলুর রহমান বলেন, সারা বছর যা কামাই করি তা বন্যা আর নদী ভাঙনে শেষ হয়। ত্রান তো সামান্য। তা দিয়ে তো চলে না। এজন্য ত্রান নয়। আমরা চাই তিস্তা খনন করে স্থায়ী বাঁধ নির্মান করা হোক। যাতে সারা বছরের কামাই বানের পানিতে আর ভেসে না যায়।

পাসাইটারী গ্রামের আব্দুল আজিজ বলেন, সবাই তেরান দেয় উচু জায়গায়। পানি পার হয়ে যেতে যেতে শেষ হয়ে যায়। আজ ডিসি স্যার নিজে তেরান নিয়ে হামার(আমাদের) বাড়ি এসেছেন, খোঁজ নিয়েছেন। এতেই আমাদের কষ্ট দুর হয়েছে। ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পেয়েছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, দুই দিন পর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। পরিবার প্রতি ১০ কেজি হারে বন্যার্তদের জন্য ৮৪ মেঃটন জি-আর চাল ও ৩হাজার একশত প্যাকেট শুকনো খাবার সংশ্রিষ্ট এলাকায় পৌছে দেয়া হয়েছে। জি-আর ক্যাশ মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনে বরাদ্ধা দেয়া হবে।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...