আজ ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অগ্নিসন্ত্রাসীদের অতিক্রম করেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব, শেখ হাসিনা

শেখ আব্দুল জলিল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নানাঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলার মতই অগ্নিসন্ত্রাসী-মনুষ্যসৃষ্ট দূর্যোগ অতিক্রম করেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

বাংলাদেশ আজ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০৪১ সালেরমধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট,ডিজিটাল। তখনকার সরকার জনগোষ্টি সবই হবে স্মার্ট,বাংলাদেশ আর কখনোই পিছনে যাবেনা।

প্রধানমন্ত্রী আজ রবিবার দুপুরে নরসিংদীর পলাশে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন শেষে সুধী সমাবেশে বক্তব্য কালে এসব কথা বলেন।
পরে শিল্পমন্ত্রী এডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, স্থানীয়সংসদ সদস্য ডাঃ আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ।
রবিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টায় উদ্বোধনী ফলক উম্মোচনের মাধ্যমে বোতাম টিপে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করেন তিনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এ ধরনের বৃহত্ত সার কারখানা উদ্বোধনের ফলে সার আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে সহায়তা করবে বলে জানা গেছে। পরিবেশবান্ধব,জ্বালানী সাশ্রয়ী ও আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক এ কারখানাটি বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন সার উৎপাদন করবে বলে জানা গেছে। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এই সার কারখানাটি এর আগে সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য নতুন করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন এবং প্রকল্পের শুরু থেকেই বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল প্রস্তত করা হয়েছে।
সার কারখানা উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী সার কারখানা পরিদর্শন করেন। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম সার কারখানাটির উদ্বোধনের দিনটিকে চিন্হিত করে প্রধানমন্ত্রী স্বারক ডাকটিকেট,উদ্বোধনী খাম জিপিইউএফএফ এর একটি সীলমোহর অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে নরসিংদীর পলাশে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানায় এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক উৎপাদন। জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব এই কারখানায় বছরে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। দিনে উৎপাদন হবে ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের অক্টোবরে কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু হলে প্রকল্পের অবকাঠামোর কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়। পরে একই বছরের ১৬ আগস্ট পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু হয়। যার দায়িত্ব পায় চীনের সিসি সেভেন এবং জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এরপর ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১১০ একর জমির ওপর নির্মিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ২১ লাখ টাকা আর জাপান ও চীনের ঠিকাদারদের যৌথ কনসোর্টিয়াম ব্যাংক অব টোকিও-মিৎসুবিশি ইউএফজে লিমিটেড ও দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকার ঋণ দেয়।
দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ইউরিয়া সারের চাহিদা মোটানো ও সুলভমূল্যে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ নিশ্চিত, আমদানি হ্রাস করে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে এই কারখানা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...