আজ ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কাঁচা মরিচ চাষিদের মুখে হাসি

হারুনুর রশিদ রায়পুরা নরসিংদী
সারাদেশে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ বেড়েই চলছে। এ ঝাঁজ যেন থামছেই না। দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। মরিচের ঝাঁজে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। এতে নরসিংদীর রায়পুরায় চাষেদের মুখে ফুটেছে হাসি।
এই মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়। উপজেলায় উচু থাকায় ভালো দামের বিক্রির আসার কাঁচামরিচ চাষে ঝুঁকছে অনেকে। মুছাপুর ইউনিয়নের পূর্বহরিপুর এলাকায় ৫০ বিঘার অধিক জমিতে চাষাবাদ হতে দেখা গেছে। প্রতি বছর চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে কৃষক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্বহরিপুর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মরিচ চাষিরা ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরা বেজায় খুশি। ভাল ফলন ও লাভের আশায় নিয়মিত পরিচর্যা ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে।
মুছাপুর ইউনিয়নের পূর্বহরিপুর গ্রামের চাষি আলমগীর হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে ৩৫ শতক জমিতে মরিচ চাষাবাদ করেছি।আনুমানিক ২০হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে সার কীটনাশকের দাম বেশি। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন থাকলে ১লাখ বিক্রি করতে পারবো। মরিচ চাষে লাভবান হবো। এই সবসময়টায় দাম বেশি থাকে বলেই এই এলাকায় কামাল মিয়া,কাসেম,আসাদ মিয়া, বাচ্চু মিয়ার মত আরও অনেকে প্রায় ৫০বিঘা জমিতে কাঁচামরিচ চাষাবাদ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার পাগলা বাজার, সাপমরা, রাধাগন্জ, মরজাল, রায়পুরা বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২শ ২০-২শ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১শ ২০থেকে ১শ ৩০টাকা দরে বিক্রি হতো। গত সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার প্রতিটি হাটবাজার গুলোতে মরিচের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম বাড়ায় নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের পক্ষে মরার উপর খাঁড়ার গাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকের কাছে কাঁচা মরিচ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা বাজার নজরদারি জন্য প্রশাসনের প্রতি সু-দৃষ্টি কামনা করছেন অনেকে।

উপজেলার সাপমারা বাজারে ক্রেতা মোস্তাফা, সাগর ও আল আমিন জানান, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। ২৫০ টাকা ধরে মরিচ কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। মরিচ ছাড়া রান্নাও চলে না। দাম বেশি হলেও পরিমাণে কম নিতে হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার মরজাল বাজারে মরিচ কিনতে আসা হুমায়ুন কবির,কাজী কামাল হোসেন বলেন, কি করবো দাম বেশি হলেও খেতে ত হবেই, বাধ্য হয়ে নিচ্ছি। টাকা কম গরীব মানুষ ১পোয়া মরিচ ৬০টাকায় কিনলাম।

পাগলাবাজার হাটে মরিচ বিক্রেতা কবির হোসেন জানান, বর্তমানে কাঁচা মরিচের কেজি ২৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আজ মোকামে পাইনি বলে বিক্রি করতে না পারায় অন্য সবজির বেচা বিক্রি কমেছে। বেশি দামে আনলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে আশাকরি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দাম কমতে পারে।

পাইকারি মরিচ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, বাজারে কৃষকরা কম আনছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকা থেকে আমদানি কম থাকায় মরিচের দাম বেড়েছে। আমদানি বাড়লে দাম কমে যাবে বলে জানান তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো মুস্তাফিজুর রহমান জানান,দাম বৃদ্ধি সারাদেশে একই চিত্র। উপজেলায় এ মৌসুমে মরিচ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কৃষি অফিস তাদের কে সর্বত্রক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...