ফারজানা আক্তার– কুলিয়ারচর থেকে
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে গর্ভবতী মায়ের পেটে লাথী মেরে ৬ মাসের গর্ভের জোড়া শিশু হত্যার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মা জুমা আক্তার (২৭)।
৯ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় উপজেলার পৌর এলাকায় ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অলি উল্লাহ ও তার বাহিনীদের বিরুদ্ধে উক্ত সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
জুমা আক্তার তার লিখিত বক্তব্যে জানান, ২৬ জুন আমার স্বামী আলামিন মিয়া(৩০) ঝালমিুড়ি বিক্রি করার সময় সাবেক কাউন্সিলর অলি উল্লাহ’র পরিবারের কয়েকটি বখাটে যুবক ঝালমুড়ি নিতে আসা কয়েকটি মেয়েকে উত্যক্ত করলে আলামিন বাধা দেওয়ায় যুবকেরা তর্কে জড়িয়ে যায়।
খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সাবেক কাউন্সিলর অলি উল্লাহ’র নেতৃত্বে বখাটেরা আমার স্বামীকে কিলঘুষি ও লাথিসহ মারধর করছে।
আমি বাধা দিয়ে আল্লাহর দোহাই দিয়ে হাত জোড় করি। কিন্তু সন্ত্রাসী বাহিনী আমার কথার কর্ণপাত না করে আমাকেও আঘাত করতে থাকে।
উপস্থিত জনতা এ ঘটনা দেখে সবাই বলতে থাকে জুমার পেটে বাচ্চা আছে। তারে তোরা মারিস না।তাহারা কোন কথা না শুনে আমার তলপেটে আঘাত করতে থাকে।
আমি অজ্ঞান হয়ে পরি।আমার জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি হাসপাতালে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক গণ রিপোর্টের ভিত্তিতে বলেন, বাচ্চা দুইটা আশঙ্কাজনক। ডাক্তারের চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হলে বাড়িতে আসি।
এই ঘটনায় প্রেক্ষিতে ২৯ জুন কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।মামলা নং-২২৬১।
পরবর্তীতে ৩ আগস্ট হঠাৎ আমার তলপেটে ব্যথা অনুভব হলে আমার স্বামী আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।এবং দুটি মৃত সন্তানের জন্ম হয়। তারা আমার দুটি সন্তান হত্যা করেও প্রাকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। অন্যথায় আমাদের বাকি সবাইকে হত্যা করবে বলে হুমকী দেয়।
আমার মত কোন মাকে যেন গর্ভের সন্তান হারাতে না হয় এ প্রেক্ষিতে উলি উল্লাহ সহ ঘটনার সাথে জরিত দের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ডাক্তারি রিপোর্ট তদন্ত করে যদি বুঝা যায় বাচ্চা গুলো ২৬ জুনের মারামারির কারনেই নষ্ট হয়েছে তাহলে আগের মামলাতেই নতুন ধারা যোগ করা হবে।একই ঘটনার জন্য আলাদা কোন মামলার প্রয়োজন নাই।
অলি উল্লাহর সাথে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন,তারা নিজেরাই বাচ্চার নষ্ট করে আমাদেরকে ফাসানোর জন্য হত্যা বলে দাবি করছে।
Leave a Reply