নরসিংদী পোস্ট—-
গেল ৭ মাস আগে কলেজ শিক্ষক খাইরুন নাহার(৪৫) বিয়ে করেন কলেজ ছাত্র মো.মামুন হোসেন(২২) কে। বয়সের দিক দিয়ে ২৫ বছরের পার্থক্য কলেজ শিক্ষিকা ও কলেজ ছাত্রের বিয়ের বিষয়টি সারা দেশেই ভাইরাল হয়। বিয়ের পর মিডিয়ায় তারা এমন বক্তব্যও দিয়েছিলেন বিয়ে করে দুজনই বেশ সুখে আছেন। কিন্তু নাটোরের গুরুদাসপুরের কলেজ ছাত্র মামুনকে বিয়ে করে বিয়ের সাত মাসের মাথায়ই স্ত্রী কলেজ শিক্ষিকার ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধারে অনেকের মনে নতুন করে প্রশ্ন আসলে কি শিক্ষক ছাত্রের নবদম্পত্তি সুখে ছিল?
পুলিশ বলছে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা এখনো বলা যাচ্ছেনা। তবে কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের লাশ উদ্ধার হওয়ার বিয়য়টি নতুন করে সারা দেশে আবার আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
আজ রোববার সকাল ৭টার দিকে কলেজশিক্ষক খাইরুন নাহারের মরদেহ শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী জানান সকালে মামুন ফজরের নামাজ শেষে বাড়িতে ঢুকে দরজায় নক করেন। কিন্তু তাতে কোনো সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ভেতরে এসে দেখেন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন খাইরুন নাহার।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ ব্যাপারে এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজি অফিসে গিয়ে কলেজশিক্ষক খাইরুন নাহার ও ছাত্র মো. মামুন হোসেন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষ দিকে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। জানাজানি হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
Leave a Reply