আজ ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভুয়া ডাক্তার ওসমান পুলিশ নিয়ে পেটালেন দুই সাংবাদিককে-

নরসিংদী পোস্ট —–

ক্লিনিকের মালিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশকে সঙ্গী করেই পেটালেন সিনিয়র দুই সাংবাদিককে।

ঘটনাটি মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় এসপিএ ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে।

উক্ত ক্লিনিকে ব্যাপক অনিয়ম ও ভুয়া ডাক্তার রোগী দেখেন এমন খবর জানতে পেরে অফিসের অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ওই ক্লিনিকে যান ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক হাসান মেসবাহ ও ক্যামেরাপারসন সাজু মিয়া। আর এই অনিয়ম ও ভুয়া ডাক্তারের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েই মারধরের শিকার হোন সিনিয়র এই দুই সাংবাদিক।

সাংবাদিক হাসান মেজবাহ ও ক্যামেরাপারসন সাজু

তাদের মারধর করেন ক্লিনিকটির মালিক ওসমানসহ।২৫/২০ জন। পরে পুলিশ এসে দুই সাংবাদিককে আরেক দফা মারধর করে।

মারধরে দুই সাংবাদিককে গুরুতর আহত করে তাদের গাড়িটিতেও ভাঙচুর চালানো হয়।

এই ঘটনায় কামরাঙ্গীরচর থানার এক এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আহত সাংবাদিক হাসান মেসবাহ বলেন, ‘কামরাঙ্গীরচরে এসপিএ ক্লিনিকটিতে একজন ভুয়া চিকিৎসক রোগী দেখেন। তিনি বিএমডিসির যে নম্বর ব্যবহার করেন সেটিও ভুয়া। এমন তথ্য পেয়ে আমরা সেখানে যাই এবং ক্লিনিকটির মালিক ভুয়া চিকিৎসক ওসমানের সাক্ষাৎকার নিতে শুরু করি।

একপর্যায়ে ভুয়া ডাক্তার থাকার বিষয়ে কথা বললে ওসমান বলেন, এই তুই কি আমাকে একজন ভুয়া চিকিৎসক মনে করেছিস? জানিস আমি কে? দাঁড়া তোকে দেখাচ্ছি। এই যা, তোকে আর ইন্টারভিউ দেব না।

তখন আমি তাকে বললাম যে, আপনি এই বিষয়টি নিয়ে কথা বইলেন না, শুধু বলেন আপনার ক্লিনিকে ভুয়া চিকিৎসক বসে কি না।

তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে আমার চশমাটা ভেঙে ফেলেন। এরপর আমার গায়ে হাত তোলেন। পরে ক্লিনিকের ১৫ থেকে ২০ জন লোক ডেকে আমাদের মারধর করেন।

এরপর আমাদের ফোন, গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়ে তিনিই পুলিশকে খবর দেন।’

পুলিশ এলে মিলন নামের একজন এসআই আমাকে এসেই বলেন, তুই কোন টিভির সাংবাদিক। তখন আমি তাকে বলি, আমরা ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি থেকে এসেছি। এবার তিনি সাজুকে বলতে লাগলেন, তোরা যদি আসল সাংবাদিক হয়ে থাকিস তাহলে তোদের কার্ড দেখা। এ সময় সাজু তার কার্ডটি বের করে দেখালে সেটি দেখে বলতে লাগলেন, এই তোরা তো ভুয়া সাংবাদিক।

উক্ত এসআইকে বারবার বলেছি আমরা আমাদের অফিস থেকে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে এখানে এসেছি, আপনি অফিসে ফোন করে বিষয়টি যাচাই করতে পারেন।

কিন্তু তিনি আমার কোনো কথা না শুনে সরাসরি তেড়ে এসে আমার মুখে ঘুষি মারেন।

এরপর অন্যরাও তার সঙ্গে আমাদের মারধর করেন।

আহত সাংবাদিক মেজবাহ ও সাজু জানান, তারা আমাদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমাদের কাছে অফিসের যাবতীয় সব সরঞ্জামাদি থাকার পরও এসআই ভুয়া সাংবাদিক বলে মারধর করেছে।’

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...