আজ ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রায়পুরায় বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ৫১তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

হারুনুর রশিদ রায়পুরা প্রতিনিধি :
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর রায়পুরায় সরকারি, বেসরকারি এবং তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করে। (আজ) গতকাল শনিবার সকালে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামের স্মৃতি জাদুঘর ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাহমুদাবাদ নামাপাড়ায় তাঁর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন,আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এবং ডায়াবেটিস পরিক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানে দিবসটি পালন করা হয়। অনুষ্ঠান সূচিতে সকাল ১০টায় বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগরে বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর সৃতি যাদুঘরে ও গ্রন্থাগারে রায়পুরা পূর্বাঞ্চল সেচ্ছাসেবী সংগঠন ফোরামের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এবং ডায়াবেটিস পরিক্ষা করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো নজরুল ইসলাম,মো সোলায়মান কাদির,মো আতাউর রহমান, হারুনুর রশিদ, আবদুর রহমান প্রমুখ।

দিনব্যাপী এ কার্যক্রমে ৪শতাধিক মানুষকে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ২শতাধিক জনকে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরিক্ষা করেন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। এ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন ইসমাঈল ডায়াগনস্টিক সেন্টার রায়পুরা।
বিকেলে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান এর গ্রামের বাড়িতে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন পৃথকভাবে রায়পুরা বাজারে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ফাউন্ডেশন শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বরণ করা হয়েছে।
তার স্মরণে নিজ গ্রামে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, সামাজিক, সেচ্চাসেবী, রক্ত দাতাসহ বিভিন্ন সংগঠন গড়ে উঠেছে।
বক্তব্যে বক্তারা বলেন, রায়পুরায় অনেক কীর্তিমান মানুষের জন্ম হয়েছে। তাদের জীবন আলেখ্য যতই পর্যালোচনা করা হবে নতুন প্রজন্মের কাছে ততই আগ্রহী হয়ে উঠবে। চাষ না হলে সোনার দেশে সোনা কোথা থেকে ফলবে। এক সময় বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান নামে নরসিংদী জেলা স্টেডিয়ামের নাম করন করা হয়েছিল। কিন্তু কি কারণে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে তা আজও অজানাই রয়ে গেলো। নরসিংদী বাসীর দাবি পূর্বের ন্যায় আবারও তার নামে নাম করন করা হওক।
উলেখ্য,১৯৭১ সালের এই দিনে করাচি থেকে প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ে পালিয়ে আসার সময় ভারতীয় সীমান্তে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে তিনি শহীদ হন। মতিউর রহমানের দেহ অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ২০০৬ সালের ২৫ জুন তাঁর দেহাবশেষ বাংলাদেশে এনে পরদিন মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। স্বাধীনতার পর মতিউর রহমানকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয়।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...