রায়পুরা নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর রায়পুরায় এক গৃহবধূকে(২৫) হাত পা বেঁধে জোড়পূর্বক ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন উক্ত গৃহবধুর পিতা।
গত রবিবার মধ্যরাতে ঘরের দরজা ভেঙে দুই যুবক ঘরে ঢুকে সন্তানদের সামনে মুখ হাত পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার থানায় মামলা করেছেন তিনি।
মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার মির্জাপুর এলাকার রাশেদ মিয়ার ছেলে শরিফ হাসান (২৫)। একই এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে শাহ পরান (২২) ও আলী আকবরের ছেলে শাহাবদ্দীন(২২)।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকায় ওই গৃববধূ দুই সন্তানকে নিয়ে নিজ বাড়িতে থাকেন। তাঁর স্বামী গত এক বছর ধরে বিদেশে চাকরী করেন।
ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ২টার সময় ভুক্তভোগী নিজ ঘরে দুই শিশু সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এসময় আগে থেকে উৎপেতে থাকা ওই দুই যুবক দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে গৃহবধূকে হাত, পা, মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ও সন্তানদের গলায় ছুরি ধরে জোর পূর্বক পালাক্রমে একাধিক বার ধর্ষন করে।
ঘটনার সময় ওই নারীর শিশুসন্তানরা চিৎকার দেয়ার ভয়ে অভিযুক্তরা তাদের গলায় ছুরি ধরে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষনের পর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দৌড়ে পালিয়ে যান।
সকালে ধর্ষনের শিকার গৃহবধু রাতের ধর্ষনের ঘটনা তার স্বজনদের জানায়।
অভিযুক্তরা এলাকার প্রভাবশালী লোক। তারা গৃহবধু ও তার পরিবারকে মামলা করলে মেরে ফেলার হুমকী দেয়।
এ ঘটনার একদিন পর মঙ্গলবার বিকেলে রায়পুরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
গত শুক্রবার রাতে রায়পুরা থানায় মামলাটি এজাহার ভুক্ত হয়।
এ ঘটনায় জড়িত ধর্ষকদের কঠিন শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওই গৃহবধূ নরসিংদী পোস্টকে জানান, নরপশুরা রাতে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে শিশু সন্তানদের গলায় ছুরি ধরে তার মুখ হাত পা বেঁধে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
নির্যাতিত গৃহবধু কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, নরপশুরা আমার মত আর কারও জীবন যেন নষ্ট করতে না পারে। শুনতেছি এ ঘটনায় স্বামীর পরিবার থেকেও সম্পর্ক শেষ করে দিবে। তাদের কারনে আমার জীবনে কলংকের দাগ পড়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে আকুল আবেদন তিনি যেন ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রধান করেন।
রায়পুরা থানার পরিদর্শক তদন্ত গোবিন্দ সরকার বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার রাতে মামলা হয়েছে। আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
সহকারী পুলিশ সুপার রায়পুরা সার্কেল সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply