রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
নরসিংদীর রায়পুরায় মজা খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিম ক্ষেতে ডেকে নিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত দুই মাস আগে ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্তা হন ওই ছাত্রী দাবি পরিবারের।
উপজেলার উত্তর বাখব নগর ইউনিয়নের লোচনপুর (সোনাকান্দা) গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
গত মঙ্গলবার এ ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম হাসান মিয়া (৬০)। তিনি একই ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর (ওরফে মিয়া সরদার) ছেলে এবং পেশায় সবজি চাষী।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। তাঁর মা নরসিংদীর পাঁচদোনায় একটি পোশাক তৈরী কারখানার শ্রমিক ও বাবা রিকসা চালক। কাজের সুবাধে এ দম্পতি সেখানে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। রায়পুরার লোচনপুরে নানাবাড়িতে বৃদ্ধ নানির সঙ্গে থাকতেন চো
চৌদ্দ বছর বয়সী ওই কিশোরী ও তার এক ভাই। দুই মাস আগে ওই বৃদ্ধ ছাত্রীকে মজা খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিমভর্তি একটি ঝুড়ি মাথায় তুলে দিতে ওই কিশোরীকে ডেকে আনে হাসান। পরে শিমক্ষেতে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় দুই দফায় গ্রাম্য শালিশ বসে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পর দিন টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, চারদিন আগে বাড়ি ফিরে মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করি। পরে ডাক্তারের পরামর্শে রায়পুরা পৌর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করায়। চিকিৎসক পরিক্ষা করে দেখে জানান, আমার মেয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্বা। পরে মেয়ে জানান, তাকে একই এলাকার হাসান শিমক্ষেতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত হাসান ধর্ষণের কথা অস্বীকার করায় ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে জানাই। পরে রায়পুরা থানার পুলিশ এসে ঘটনা শুনেন এবং হাসানকে তার বাড়িতে না পেয়ে চলে যান। ন্যায় বিচারের জন্য থানায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বলেন, ধর্ষণ শেষে হাসান বলে এসব কথা কাউকে বলিস না। ‘কইলে তরই শরম হইব, বিয়াশাদী হইবো না’। পরে লজ্জায় পরিবারের কাউকে জানাইনি।
অভিযুক্ত হাসান মিয়া জানান, তিনি কোন অপরাধ করেননি। একটি মহলের ইন্দুনে তাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে ওই ছাত্রীর পরিবার। সত্য উদযাটনে ডিএনএ টেস্ট করানোর দাবি জানান তিনি।
রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এব্যাপারে ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোন অভিযোগ পাননি বলে জানান তিনি।
Leave a Reply